খুশকি দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানানো হল।
বেকিং সোডাঃ হালকা পানিতে মাথা ভিজিয়ে নিয়ে খানিকটা বেকিং সোডা পুরো মাথায় মেখে নিন।
ভালো করে ঘষে ঘষে শ্যাম্পু না করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা মাথার
খুলিতে থাকা ছত্রাক দমন করে প্রথমদিকে ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে
পারে। কিন্তু অল্পদিনেই ত্বকে স্বাভাবিক তৈলাক্ত অবস্থা ফিরে আসবে। কিন্তু এ
সময়ে আপনি খুশকি থেকে মুক্তি পাবেন।
|
বেকিং সোডা |
টি ট্রি তেলঃ খুশকি দূর করতে টি ট্রি তেল ব্যবহার করা যায়। কয়েক
ফোঁটা তেল নিয়ে সারা মাথায় ছড়িয়ে দিন। পাঁচ মিনিট পর মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
|
টি ট্রি তেল |
জলপাই তেলঃ খুশকির সমস্যা দূর করতে জলপাই তেল বা অলিভ অয়েলের ব্যবহার নানা দেশে খুবই
জনপ্রিয়। নিয়মিত জলপাই তেল ব্যবহারে খুশকি কমে। কারণ জলপাই তেল
প্রাকৃতিকভাবেই ভালো ময়েশ্চারাইজার এবং ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে বা ত্বকের
আর্দ্রতা ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করে।
|
জলপাই তেল |
লেবুর রসঃ দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস নিয়ে পুরো মাথায় চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে মাখুন।
পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এবার এক টেবিল-চামচ লেবুর রস নিয়ে এক কাপ পানিতে
মেশান। লেবুর রস মেশানো পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। খুশকি না কমা পর্যন্ত
প্রতিদিন এভাবে লেবু চিকিৎসা চালিয়ে দেখতে পারেন।
|
লেবু |
অ্যাপল সাইডার ভিনিগারঃ এটি খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
সম-পরিমাণ পানি ও ভিনিগার মিশিয়ে মাথার ত্বকে ব্যবহার করুন। মাথার ত্বক হালকা মালিশ
করে ১৫ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন।
|
অ্যাপল সাইডার ভিনিগার |
মেথি-তেলঃ সাধারণ নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি মিশিয়ে কয়েকদিন বোতলে রেখে দিন। নিয়মিত
এই মেথি মেশানো তেল মাখুন মাথায়। রাতে মেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে
নিয়মিত ব্যবহারে মাথার চুল ও ত্বক দুইই ভালো থাকবে। খুশকি থেকেও রেহাই
পাবেন।
|
মেথি-তেল |
অ্যালোভেরাঃ খুশকি ভরা মাথায় অ্যালোভেরার রস মেখে নিলে দারুণ আরাম পাবেন। খুশকির
জ্বালায় দিনরাত চুলকানো থেকে খানিকটা ছুটিও দেবে অ্যালোভেরার রসের শীতল
আরাম। এই উদ্ভিদ রসের সমৃদ্ধ উপাদানগুলো আপনার ত্বকের অনেক সমস্যাই দূর
করবে।
|
অ্যালোভেরা |
এছাড়া পূর্ণ শস্যযুক্ত খাবার এবং অঙ্কুরিত বীজে থাকে জিংক
ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড। যেমন: কাঠবাদাম, আখরোট, তিসির বীজ। এগুলো খুশকি হওয়া প্রতিরোধ
করে।
খুশকির চিকিত্সা
খুশকির চিকিত্সার জন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন এমন কয়েকটি অভ্যাস এবং প্রাকৃতিক চিকিত্সা রয়েছে।
পুষ্টিঃ ডায়েটে অতিরিক্ত চিনি যে কোনও খামির সংক্রমণকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। খুশকির জন্য চিকিত্সা করার সময় সমস্ত শর্করা এবং পরিশোধিত স্টার্চ খাওয়ার চেষ্টা কমাতে চেষ্টা করুন।
সাফ করাঃ শ্যাম্পু করার সময় আপনার আঙ্গুলের নখ দিয়ে ভাল করে আপনার মাথার ত্বকে ভাল করে ম্যাসাজ করুন। এটি কোনও মৃত ত্বকের ঝিল্লিকে আলগা করতে এবং সরাতে সহায়তা করবে এবং সংক্রমণটি অব্যাহত রাখতে আটকাতে সহায়তা করবে। সংক্রমণ পরিষ্কার না হওয়া অবধি আপনার চুল ধুয়ে ফেলুন।
|
শ্যাম্পু
|
কন্ডিশনিংঃ কেবল চুলের প্রান্তে প্রতিরক্ষামূলক চুলের অবস্থা ব্যবহার করুন। আপনার মাথার ত্বকে কন্ডিশনার পাওয়া এড়াতে যেখানে এটি ছিদ্রগুলি আটকে রাখতে পারে এবং ত্বকের নিরাময়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে।
অন্যান্য চিকিত্সা:
ম্যাসাজঃ আঙ্গুলের প্যাড দিয়ে আপনার মাথার ত্বকে দিনে কয়েকবার ম্যাসাজ করা চুলের ফলিকিতে রক্ত সরবরাহকে উদ্দীপ্ত করে এবং মৃত ত্বকের ঝিল্লিকে আলগা করতে সহায়তা করে।
|
ম্যাসাজ |
ব্রাশিংঃ আপনার চুলকে প্রতিদিন ভাল করে ব্রাশ করা ত্বকের মৃত ত্বকের ঝিল্লিকে আলগা করতে এবং মুছে ফেলা, চুলের শ্যাফ্টের সাথে সিবামের মসৃণ প্রবাহ বাড়িয়ে তুলতে এবং চুলের ফলিকীতে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে তুলবে।
|
ব্রাশ |
ম্যাসেজ ও ব্রাশ করার পরে আপনার হাত ধুয়ে নিবেন। এতে আপনার চুল পুনরায় সংক্রমণ বা ক্রস সংক্রমণ রোধে সহায়তা করবে।
No comments:
If you have any doubt, please let me know